আনন্দবাজারের খবরে দাবি করা হয়েছে, জেএমবি আইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বরাতে খবরে দাবি করা হয়, গত সাত বছরে জেএমবি হাজার হাজার ভারতীয় মুসলিমকে তাদের সংগঠনে ভিড়িয়েছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে নিয়ে ‘বৃহত্তর মুসলিম বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে জেএমবি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তথ্যের বরাতে আনন্দবাজার জানায়, বাংলাদেশের জেএমবির খুব শক্ত ঘাঁটি রয়েছে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের ওই এলাকাগুলোতে। জেএমবি ওই এলাকাগুলোতে আইএসের ভিত গড়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুর, ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহীতে সংঘটিত সবগুলো জঙ্গি হামলারই দায় স্বীকার করেছে আইএস। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আনন্দবাজারের কাছে দাবি করেন, তদন্তে নেমে তারা জানতে পারেন, প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনেই রয়েছে আইএস। আর তাদের অস্ত্র ও লোকবল দিয়ে সাহায্য করেছে জেএমবি। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার দাবি করে, জেএমবি এখন আইএসের ‘ছদ্মবেশে’ বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের ‘অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার দাবি করেছে, শুধুই বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ বা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম আর ঝাড়খণ্ডে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইসলামিক স্টেট। আর তার জন্য কোনও কোনও স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় স্তরের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাঁধে কাঁধ মেলাতে শুরু করে দিয়েছে আইএস। সিরিয়ার এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জেএমবির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের ‘ইন্ডিয়ান মূজাহিদিন’ এর সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে।
/বিএ/