টিকটকে ভিডিও প্রকাশ: খালাস পেলেন সেই দুই মিসরীয় নারী

টিকটকে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে ‘সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত’হানার দায়ে কারাদণ্ড পাওয়া দুই তরুণীকে খালাস দিয়েছে মিসরের আপিল আদালত। হানিন হোসাম ও মোয়াদা আল আধাম নামের ওই দুই টিক টক তারকার আপিলের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে।

মিসরের রক্ষণশীল সামাজিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করার কারণে দেশটির বেশ কয়েকজন নারীই ‘নৈতিক অবক্ষয়ে’ উসকানির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। গত বছর আইনপ্রণেতারা টিকটক বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে নগ্নতা ও অনৈতিকতার বিস্তার ঘটছে।

তিন মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের পর গত বছরের এপ্রিলে হানিন হোসামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ভিডিওতে নিজের ১৩ লাখ অনুসারীকে তিনি বলেন, তার সঙ্গে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে মেয়েরা। আর মে মাসে গ্রেফতার হন মোয়াদা আল-আধাম। টিকটক ও ইন্সটাগ্রামে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ওই দুই সামাজিক মাধ্যমে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। গত বছরের জুলাইয়ে তাদেরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) আপিল আদালতের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নৈতিকতা ভঙ্গে উসকানি ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর আঘাতের অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হানিন হোসাম ও মাওয়াদা আল আধামের করা আপিল আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।’

২০ বছর বয়সী হানিন হোসাম কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার আইনজীবী হুসেইন এল বাকার রয়টার্সকে বলেন, রায় শোনার পর তার মক্কেল অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। গত নয় মাস ধরে কারাগারে থাকার কারণে হানিন প্রচণ্ডরকমের মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।

আইনজীবী আরও জানান, খালাস পেলেও এখনই মুক্ত হতে পারছেন না হানিন। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও রয়েছে। এ মামলার রায় ঘোষণার দিন-তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।