১৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র: আইআরএনএ

ভারত মহাসাগরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরানের সেনাবাহিনী (আইআরজিসি)। শনিবার সামরিক মহড়ার দ্বিতীয় দিনে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সির (আইআরএনএ) প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

শুক্রবার থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর (আইআরজিসি)এই মহড়া শুরু হয়েছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ‘কাভিরে মারকাজি’ মরুভূমিতে এই মহড়া চলছে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহানবী (সা.) মহড়া’। প্রতি বছর এই নামেই মহড়া পরিচালনা করে তেহরান।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইরান দাবি করেছে, শনিবার দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই মরুভূমি থেকে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে কল্পিত শত্রুর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এগুলোর আঘাতে সাগরে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

বিপ্লবী বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা নীতি হচ্ছে, শত্রুর বিমানবাহী রণতরী ও যুদ্ধজাহাজের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার।’সালামি বলেন, ‘আমরা এখন সাগরে চলমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।’

মহড়ার প্রথম দিনে নতুন প্রজন্মের অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে গোটা মরুভূমি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মহাযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহড়ায় বহু বোমারু ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।