উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দ. আফ্রিকার নতুন স্ট্রেইন

আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অংশে দ্রুত গতিতে করোনাভাইরাস প্রকোপের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন স্ট্রেইনটিকে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আশেপাশের অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করছে করোনার নতুন এ ধরন। আর সেকারণে গত এক সপ্তাহে মহাদেশের ২২টি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে দেখা গেছে। এ নিয়ে উদ্বেগে আছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফ্রিকা মহাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষের। এরইমধ্যে মহাদেশটিতে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস প্রকোপের দ্বিতীয় ঢেউ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নতুন ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ৫০১ওয়াই.ভি২ এর আধিপত্য। নতুন বৈশিষ্ট্যের এ ভাইরাসটি সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হলেও এরইমধ্যে তা মহাদেশের ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে ২৪টি দেশে পাওয়া গেছে এ নতুন বৈশিষ্ট্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকাবিষযক আঞ্চলিক পরিচালক মাতসিদিশো মোয়েতি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টটি আফ্রিকায় খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে আমি খুব উদ্বেগে আছি। আরও বেশ কিছু আফ্রিকান দেশে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

ডব্লিউএইচও বলছে, গত এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে আটটি দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার মিউট্যান্ট স্ট্রেইন খুঁজে পাওয়া গেছে। এখন ৩১টি দেশে করোনার এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি ছড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট ব্রিটেনের স্ট্রেইনের চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের। খুব দ্রুত বিভাজিত হওয়ার ক্ষমতা আছে এটির। জিনগত বদল বা জেনেটিক মিউটেশনের কারণে এই নতুন স্ট্রেইন আরও বেশি সংক্রামক। স্পাইক প্রোটিনের আকারই বদলে দিয়েছে এটি। দ্রুত দেহকোষের রিপেসটর প্রোটিনগুলোকে চিহ্নিত করে ফেলতে পারে। তখন আর শুধু ফুসফুস নয়, শরীরে নানা অঙ্গেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে খুব দ্রুত।