মিয়ানমারে সু চি’র অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টা শন টারনেল আটক

মিয়ানমারের সাবেক রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র অস্ট্রেলীয় পরামর্শক শন টারনেলকেও আটক করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি নিজে এ কথা নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, সু চি ও অন্য রাজনীতিক কর্মীদেরকে গ্রেফতারের পর তাকেও আটকাবস্থায় রাখা হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা।

সিডনিভিত্তিক ম্যাককোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক টারনেল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে সু চি’র বিশেষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তখন থেকেই মিয়ানমারের নেপিডোতে বসবাস করে আসছেন।

রয়টার্সকে পাঠানো বার্তায় টারনেল লিখেছেন, ‘আমার ধারণা শিগগিরই আপনারা এ ব্যাপারে জানতে পারবেন। তবে আমি আটক আছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে, তবে সেটা কী সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই। আমি ভালো আছি এবং মনোবল শক্ত আছে। কোনও কিছু নিয়ে অনুশোচনা বোধ করছি না।’ মেসেজটির সঙ্গে একটি স্মাইল ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন টারনেল। তবে তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলীয় এ উপদেষ্টাকে একটি হোটেলে বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি সেখান থেকে কোথাও যেতে পারছেন না।

এদিকে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের মূল শহর ইয়াঙ্গুনে সমাবেশ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সেনাশাসন শুরুর পর এটাই দেশটিতে সবথেকে বড় বিক্ষোভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে সেনাবাহিনী জনগণের সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও শনিবারের এই প্রতিবাদ দমন করা যায়নি।

অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের মূল শহর ইয়াঙ্গুনের সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘সামরিক স্বৈরশাসক, ব্যর্থ, ব্যর্থ’, ‘গণতন্ত্রের, জয়, জয়’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। সে সময় নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ সেনাবাহিনী কর্তৃক আটককৃত অন্যদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।