ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসার সুযোগ বাড়ালো কিউবা

রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির বড় একটি সংস্কার করলো কিউবা। এখন থেকে বেশির ভাগ খাতেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বেসরকারিভাবে বাণিজ্য করার সুযোগ দেবে দেশটির সরকার। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘ দিন থেকেই স্থবির হয়ে আছে কিউবার অর্থনীতি। তার উপর  মহামারিতে পর্যটন শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় গত বছর দেশটির অর্থনীতির ১১ শতাংশ পতন হয়। মৌলিক পণ্যের সংকটে ভুগছে দেশটির বাসিন্দারা। আর সেগুলো পাওয়ার জন্য ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের সারি। কিউবার সংস্কারপন্থী অর্থনীতিবিদরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের উদ্দেশে দীর্ঘ দিন থেকেই ক্ষুদ্র উদ্যোগের ভূমিকার কথা বলে আসছেন।

অর্থনৈতিক মন্দার ধকল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে ক্যারিবীয় দ্বীপের দেশ কিউবা। দেশটির শ্রমমন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো ক্যাব্রেরা জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নতুন সংস্কার নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি জানান, আগে ১২৭টি খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসার অনুমতি থাকলেও এখন এই সুবিধা পাবেন দুই হাজারের বেশি খাত।

কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দায়াজ-ক্যানেল বলেছেন গত বছর তার দেশ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংকটের মুখে পড়ে। তা কাটিয়ে উঠে রফতানি বৃদ্ধি, আমদানি কমানো এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ধারাবাহিকভাবে সংস্কার পরিচালনা করবে। এর অংশ হিসেবে রাষ্ট্র-মালিকানার বাইরে থাকা খাতগুলোর উন্নয়ন ঘটানো হবে। এর মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং বাধা অপসারণ করা হবে।

কিউবার শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাষ্ট্র-মালিকানাদীন খাতের বাইরে প্রায় ছয় লাখ মানুষ রয়েছে। যা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ১৩ শতাংশ। তাদের সবাইকে সেলফ-এমপ্লয়েড বলে ধরা হয়। আর তাদের প্রায় ৪০ শতাংশই মূলত পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট খাতে নিয়োজিত।