গো-বিজ্ঞান পরীক্ষার আয়োজন বিজেপি সরকারের, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘না’

ভারতীয় গরু নিয়ে উচ্চতর গবেষণার ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার ‘‌গো–বিজ্ঞান’‌ পরীক্ষা নিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আবেদনকারীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।

দেশের ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই মর্মে নির্দেশও পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অনলাইনে গরু বিষয়ক এই সরকারি পরীক্ষায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। তবে এই ধরনের কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। 

দেশের পশুকল্যাণের জন্য ২০১৯–’২০ সালের বাজেটে ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’–এর নাম অন্তর্ভুক্ত করে আর্থিক বরাদ্দের বন্দোবস্ত করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, পশুপালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা হিসেবে কাজ করে কামধেনু আয়োগ। পশুপালন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেই ১ ঘণ্টার এই অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে তারা। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির সেই পরীক্ষা হবে।

এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ রায় বলেন, ‘‌কেন্দ্রের কাছ থেকে শুধু আমাদেরই ৬০ কোটি টাকার অনুদান বকেয়া রযেছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ছেড়েই দিলাম। তা দেওয়ার নাম নেই। উলটে নিজেদের মতাদর্শ ছাত্রছাত্রীদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই বিজেপি সরকার।’‌

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান রাজ্যেশ্বর সিং বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানমনষ্ক–ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা প্রচার করে। রাষ্ট্রের দায়িত্বও সেটাই হওয়া উচিত। এই ধরনের একটা বিষয়কে চাপিয়ে দেওয়ার কোনও জায়গা নেই।’‌