খাশোগির খুনিদের প্রশিক্ষণ দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন সংবাদমাধ্যম

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। সেই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া ঘাতক দলের চার সদস্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আধা সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়। তাকে হত্যার এক বছর আগে একটি বেসরকারি মার্কিন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয় খাশোগির খুনিরা। প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অনুমতিও ছিল তাদের। বুধবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবদেনে এ তথ্য এসেছে।

মার্কিন প্রভাবশালীর প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘টায়ার ১ গ্রুপ’ নামের একটি বেসরকারি মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল খাসোগির ঘাতক দলের চার সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে সৌদির ওই চার এজেন্টকে আধা সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন সৌদির এজেন্টদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের প্রথম বছর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ‘টায়ার ১ গ্রুপ’-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লুইস বারমার জানান, সৌদির এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ‘টায়ার ১ গ্রুপ’।  তবে এটি ছিল শুধু নিরাপত্তা কাজের জন্য। কোনও হত্যার মিশনে অংশ নিতে নয়। জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবেই জড়িত নয় বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তিনি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ছিলেন। শুরু থেকেই হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। যদিও যুবরাজ এই হত্যায় তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের তদন্তে তিনি অভিযুক্ত।

যদিও পরে চাপের মুখে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারেন না। জামাল খাশোগির মরদেহের এখনও হদিস পাওয়া যায়নি। ধারণা করায় হয়, হত্যার পর তাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।