উল্লেখ্য, নিজ দেশের কুর্দিদের সঙ্গে তুরস্কের বিবাদ বহু পুরনো। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই হয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর। ২০১২ সালে তুরস্ক সরকার এবং কুর্দিদের মধ্যে সম্পাদিত শান্তি চুক্তি দীর্ঘ আড়াই বছর পর গত জুন মাসে ভেঙ্গে যায়। এরপর দুপক্ষের সংঘাত ফের শুরু হওয়ার পর থেকে এই সপ্তাহেই সবচে বেশি রক্তপাত হলো।
বরিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলবে।’ এদিকে নিরাপত্তা সূত্র আরও জানায়, বরিবার বিদ্রোহীদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক সেনা সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গোলাগুলিতে ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন বলে জানায় তারা।
শান্তিচুক্তি ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য দেশটির সরকার ও পিকেকে যোদ্ধারা একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে। তুরস্কের অভিযোগ, পিকেকের সঙ্গে সিরিয়ার কুর্দি সংগঠন কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) ঘনিষ্ঠ যোগসাজশ রয়েছে। এ অঞ্চলে কুর্দিরা নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সম্প্রতি তুর্কি বাহিনীর অভিযানে দুই শতাধিক কুর্দি বিদ্রোহী নিহত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
/বিএ/