রাশিয়ার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা, কৃষ্ণ সাগরে বছরের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার চরম বিরোধীতার সত্বেও কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ইউক্রেন। সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ মহড়ায় ৩০টিরও বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে। এতে সেখানে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাজ্যের একটি যুদ্ধ জাহাজকে সতর্ক করে এর গতিপথে গুলি ও বোমা ফেলার দাবি করে রাশিয়া। নিজেদের জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটিকে সতর্কবার্তা দেয় মস্কো। এ নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনিত হয়েছে রাশিয়ার। যদিও সেখানে এমন কিছুই ঘটেনি বলে জানিয়েছে ব্রিটেন।

রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই বিশাল পরিসরে সামরিক মহড়া হতে চলছে কৃষ্ণ সাগরের বুকে। আর মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ইউক্রেন। এতেই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার। ২০১৪ সালে জোর করে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। যদিও এটি আন্তর্জাতিকভাবে এখনও ইউক্রেনের উপদ্বীপ হিসেবেই স্বীকৃত। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

২০২১ সালের এই সামরিক মহড়া আগামী দুই সপ্তাহ ধরে চলার কথা রয়েছে। সেখানে ন্যাটো জোটসহ অন্যান্য দেশের ৫ হাজার সামরিক সদস্য অংশ নেবে। এছাড়া ৩০টি যুদ্ধ জাহাজ এবং অত্যাধুনিক বিমান মহড়ায় থাকছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ইউএসএস রস এবং ইউএস মেরিন কর্পস থাকছে কৃষ্ণ সাগরে এই সামরিক কর্মযজ্ঞে।

মহড়ায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন বলছে, নিজেদের অভিজ্ঞাতা অর্জনেই মূল লক্ষ্য। তবে মহড়া বাতিলের জন্য গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রকে জোর আহ্বান জানান ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত। কিন্তু আয়োজন বাতিল না করার প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়া দেখাত বাধ্য হবে মস্কো।