মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার দলিল আইনগতভাবে কতটা বৈধ?

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবট মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভ্রমণ পিপাসু মানুষেদের মহাকাশযানের পথ অনুসরণ করতে আগ্রহের শেষ নেই। লাল গ্রহটিতে একখণ্ড জমি কেনাকেই অনেকে গুরুত্বপুর্ণ মনে করছেন। বেশ কয়েকটি কোম্পানি গ্রহটিতে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। অনেকেও কিনছেন। মাত্র ৩০ থেকে ৫০০ ডলারে পাওয়া যাচ্ছে জমির দলিলও। কিন্তু মঙ্গলগ্রহে এক সময় মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে সত্যিই কি কেউ সেখানে জমির মালিক হতে পারবে?

মঙ্গলে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন

মঙ্গলগ্রহে জমি কেনার দলিল কতটা বৈধ?

যে কোনও জমি বিক্রির ক্ষেত্রে আইন গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশ নিয়ে যে মৌলিক আইন রচিত হয়েছে তা ৫০ বছর আগের। ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য একটি চুক্তি তৈরি করে, যা আউটার স্পেস ট্রিটি নামে পরিচিত। এতে সবার জন্য মহাকাশে গমন সমান ও শান্তিপূর্ণ করতে গাইডলাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনও ব্যক্তি বা মহাকাশীয় সংস্থা মঙ্গলগ্রহ বা মঙ্গল গ্রহের ভূমির মালিকানা দাবি করতে পারবে না।

বিশ্বের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০১৫ সালে এই চুক্তি সংস্কার করা হয়। মার্কিন কংগ্রেসের পাস করা স্পেস অ্যাক্ট দেশটির নাগরিকদের মহাকাশ থেকে নিয়ে আসা বস্তুর মালিকানা, পরিবহন, ব্যবহার ও বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো মঙ্গলগ্রহে দোকান স্থাপন, খনন করা ও খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করতে পারবে কিন্তু ভূমির মালিকানা পাবে না।

যারা মঙ্গল গ্রহের ভূমির মালিক হিসেবে দলিলে নাম দেখতে চান তাদের চাওয়াতে ভুল কিছু নাই। এমন একটি দলিল কিনতে পারেন। কিন্তু এটি অভিনব বস্তু এবং যার সব কিছু আছে তার জন্য একটি চমৎকার উপহার হতে পারে। তবে এই দলিল শুধু আনন্দ বা বিনোদনের জন্য। এই দলিল কোনও সরকারি কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্বীকৃত না কিংবা এর কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

সূত্র: ডব্লিউসিপিও