জলবায়ু সম্মেলন থেকে কী চায় দরিদ্র দেশগুলো?

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬)। এতে অংশ নিতে এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির দেশটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। এই সম্মেলনের সাফল্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা কতটা কাজ করবে।

বন্যা, খরা ও দাবানলের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। অথচ এই দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ উন্নত দেশগুলোর চেয়ে ঢের কম। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদেরই সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে। ফলে গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে কম ধনী এবং ছোট দেশগুলোর চাহিদার বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানো জরুরি।

দরিদ্র দেশগুলো কী চায়?

জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনার জন্য দরিদ্র বা স্বল্পোন্নত দেশগুলো এরইমধ্যে তাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছে। কিছু বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর কাছে তাদের দাবিদাওয়া রয়েছে। এর কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রথমত, নির্গমন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।

দ্বিতীয়ত, ২০৫০ সালের আগেই গ্রিনহাউস গ্যাসের নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একমত হওয়া। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মতো প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া।

তৃতীয়ত, স্বল্পোন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যেই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বা ঘন ঘন বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের যেসব নেতিবাচক প্রবণতার শিকার হয়েছে সে বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া।

চতুর্থত, বিভিন্ন দেশ কিভাবে পূর্ববর্তী চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করবে তার নিয়মগুলো চূড়ান্ত করা।

জলবায়ু সম্মেলনের আগে এক বিবৃতিতে এ নিয়ে কথা বলেছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি)। তারা বলছে, ‘বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ানো এবং জলবায়ু অর্থায়ন বাড়ানো আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি।

এলডিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সোনম ওয়াংদি বলেন, ‘এই সংকটকে কোনও সংকটের মতো করে বিবেচনা করা হচ্ছে না। গ্লাসগোতে এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’ সূত্র: বিবিসি।