ওমিক্রনের শঙ্কায় ছুটি নিয়ে সতর্ক করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে ছুটির দিনের কিছু পরিকল্পনা বাদ দিতে মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘জীবন বাতিল হয়ে যাওয়ার চেয়ে একটা অনুষ্ঠান বাতিল করা ভালো।’ তিনি আরও বলেন, এই ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতেই হবে। তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে এর অর্থ হবে অনুষ্ঠান বাতিল করা বা বিলম্বিত করা।’

ড. টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘এখন আমাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে যে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।’ নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের কোভিড নিষেধাজ্ঞা শক্ত করেছে এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছ। বড়দিনের সময় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

সোমবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন আরোপের পরিকল্পনা করছেন না। তবে এর আগে দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি সতর্ক করে জানিয়েছেন বড়দিনের ভ্রমণে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়াবে, এমনকি তা পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহণকারীদেরও।

সোমবার এক ব্রিফিংয়ে ড. টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘আমরা সবাই এই মহামারি থামাতে চাই। আমরা সবাই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আমরা সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো করার সবচেয়ে দ্রুততম উপায় হলো আমাদের সবাই, নেতা থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যন্ত, নিজেকে এবং অন্যকে রক্ষা করতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত অবশ্যই নিতে হবে।’

ড. টেড্রোস জোর দিয়ে বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝির মধ্যে প্রত্যেক দেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করে ফেললে ২০২২ সালে মহামারির অবসান হতে পারে।