পুরো সপ্তাহজুড়ে টুইটারসহ অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই ভুয়া খবর। এতে বলা হয়, বহুগামিতা নিয়ে ঈশ্বরের আইন মেনে এবং দেশে পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইরিত্রিয়া সরকারের ধর্ম সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কথিত সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে:
প্রথমত, প্রত্যেক পুরুষ অন্তত দু’জন নারীকে বিয়ে করবেন। যে পুরুষ তা করতে অস্বীকার করবেন তাকে কঠোর পরিশ্রমসহ যাবজ্জীবন কারাবাস করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, যে নারী তার স্বামীকে আবার বিয়ে করতে বাধা দেবেন তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যা ৬৪ লাখের কিছু কম। এর এক দিকে সুদান আর ইথিওপিয়া, এক দিকে জিবুতি, এক দিকে লোহিত সাগর। ইথিওপিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন ইরিত্রিয়ার জন্ম হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দু’বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। যুদ্ধে নিহত হন বহু পুরুষ। সেই থেকে দেশে নারীর অনুপাতে বেশ কমে যায় পুরুষের সংখ্যা। এই নারী-পুরুষ অনুপাতের যুক্তি দেখিয়েই গুজবের ডালপালা ছড়ানো হয়।
তবে সংবাদমাধ্যম নাইরোবি ওয়্যার জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ইরিত্রিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনও নির্দেশনা জারি করা হয়নি। মূলধারার কোনও গণমাধ্যম এর জন্য দায়ী নয়। আর নির্ভরযোগ্য কোনও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: আফ্রিকা নিউজ, নাইরোবি ওয়্যার।
/এমপি/বিএ/