নৌকাডুবিতে নিহত ১৩ বালক, পাঁচ বালিকা, পাঁচজন পুরুষ ও এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্টগার্ডের ধারণা, তুরস্ক উপকূল থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে স্যামোস নামের একটি দ্বীপের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে নৌকাডুবির কারণ এখনও জানা যায়নি।
গ্রিক কোস্টগার্ডের একজন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন সে সম্পর্কে তাদের জানা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ দুর্ঘটনার মাত্র একদিন আগেই গ্রিসের কস উপদ্বীপের কাছে নৌকাডুবিতে দুই শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়।
প্রতিনিয়ত গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিপুল সংখ্যক শরণার্থী। এদের অধিকাংশই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার নাগরিক।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর তুরস্কের সৈকতে ভেসে আসা সিরীয় অভিবাসন-প্রত্যাশী শিশু আয়লান কুর্দির মৃতদেহ দেখে কেঁদে উঠে বিশ্ব বিবেক। বিশ্বজুড়ে মূল ধারার প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় আয়লান। কিন্তু এখনও যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপকূলে বা সীমান্তে আরও বহু শিশু জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে এ নৌকাডুবি সে কথাই মনে করিয়ে দেয়।
ইউনিসেফ- এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সমুদ্রে তুরস্ক ও গ্রিসের মাঝামাঝি এলাকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৯০ জন শরণার্থী শিশু। এদের মধ্যে ১৮৫ জনই শিশু। এই শিশুদের অন্তত পাঁচ শতাংশের বয়স দুই বছরের কম।
ভাগ্যবিড়ম্বিত এসব শিশুদের অধিকাংশই সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে পরিবারের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। এদের অধিকাংশের বয়স ১২ বছরের নিচে। সূত্র: আল জাজিরা।
/এমপি/