ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ রয়েছে: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ রয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর প্রায় এক মাসের মাথায় সোমবার রুশ যুদ্ধাপরাধের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ থাকার দাবি করলো ওয়াশিংটন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এখানে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া রয়েছে। রুশ যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে সহায়তা করে সেগুলোকে নথিভুক্ত করতে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই রাশিয়ান বাহিনীর আরও অপরাধের স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। এসবের প্রমাণ সংগ্রহে আমরা সহায়তা করছি।’

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি-ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে একটি ‘অনাকাঙ্খিত ও অন্যায়’ যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের টার্গেট করছে এবং নির্বিচারে আক্রমণ করছে।

এর আগে গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস-কে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই ধরনের ভাষা অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য। বহু বছর ধরে সারা বিশ্বের মানুষের ওপর বোমা হামলা এবং জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলেছে যে দেশ, সেই দেশের নেতা হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোনও অধিকার নেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করার।