মন্দার হুঁশিয়ারি বিশ্বব্যাংক প্রধানের

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান ডেভিড ম্যালপাস। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ীক আয়োজনে তিনি বলেন, ‘আমরা কিভাবে মন্দা এড়াতে পারি তা দেখা’ খুবই কঠিন। তিনি আরও বলেন চীনে কয়েক ধাপে করোনাভাইরাস লকডাউন আরোপ করায় অর্থনীতির গতি ধীর হয়ে পড়ার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে এমন ঝুঁকির ক্রমবর্ধমান সতর্কতায় সবশেষ সংযোজন বিশ্বব্যাংক প্রধানের মন্তব্য। কোনও সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস না দিয়ে ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ‘বৈশ্বিক জিডিপির দিকে তাকানো হলে... মন্দা কিভাবে এড়াতে পারি তা দেখা এখনই কঠিন।’ তিনি বলেন, ‘জ্বালানির দাম দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিজেই মন্দা শুরু করার জন্য যথেষ্ট।’

গত মাসে বিশ্বব্যাংক এই বছরের বৈশ্বিক আর্থিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রায় ৩.২ শতাংশ কমিয়ে দেয়। জিডিপি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচক। এই হিসাব দিয়েই কোনও অর্থনীতি কতটা ভালো বা খারাপ চলছে তার হিসেব করা হয়। সেকারণে এর ওপর নিবিড় নজর রাখে অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান ডেভিড ম্যালপাস বলেন, এখনও ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের প্রতি অতি নির্ভরশীল। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে চাপ অব্যাহত রাখারও পরও পরিস্থিতি বদলায়নি।

মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের এক আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডেভিড ম্যালপাস বলেন, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় ওই অঞ্চলে ‘উল্লেখযোগ্য মন্দা’ হতে পারে। তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ইতোমধ্যে জার্মান অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে। অথচ তারাই ইউরোপের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি।

বিশ্বব্যাংক প্রধান বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোও আক্রান্ত হচ্ছে সার, খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে। চীনের কয়েকটি বড় শহরে লকডাউন আরোপ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডেভিড ম্যালপাস। তিনি বলেন, এর প্রভাব এখনও বিশ্বের মন্দার ওপর পড়ছে।

সূত্র: বিবিসি