সিরীয় শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় পারস্পরিক দোষারোপ





জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় একে অপরকে দায়ী করেছে সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী পক্ষ। সরকারি পক্ষের অভিযোগ, তুরস্ক আর উপসাগরীয় দেশগুলোর ইশারায় বিদ্রোহী পক্ষ আলোচনা স্থগিতের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অন্যদিকে আলোচনা স্থগিত হওয়ার জন্য সরকারি বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলা আর বেসামরিক নাগরিকদের খাবারের সঙ্কট তৈরিকে দায়ী করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
এর আগে সিরিয়ায় গত পাঁচ বছর ধরে চলা সংঘাত অবসানে জেনেভায় চলমান শান্তি আলোচনা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান ডে মিসতুরা। তিনি বলেন, ‘আলোচনায় অগ্রগতির বড় অভাব রয়েছে।’ তবে আলোচনা এখনো পুরোপুরি ব্যর্থ হয়নি দাবি করে মিসতুরা বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে আলোচনা শুরু হবে।

শান্তি আলোচনা চলার সময়ও সিরিয়ায় অব্যাহত থাকে বোমা হামলা
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আলোচনায় ফিরবে না বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিত্বকারী কমিটি এইচএনসি। এইচএনসি’র প্রধান সমন্বয়ক রিয়াদ হিজাব বলেন, ‘গোটা বিশ্ব দেখছে কারা আদতে আলোচনাকে ব্যর্থ করেছে, কারা বোমা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা ফেলছে এবং লোকজনকে খেতে না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
এদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের অতিরিক্ত তহবিলের যোগান দিতে বৃহস্পতিবার লন্ডনে বৈঠক করছেন দাতা দেশের নেতারা। ৭০টিরও বেশি দেশ বৈঠকে অংশ নিচ্ছে। আর এ বৈঠকের মাধ্যমে কয়েকশো কোটি ডলার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ৫ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ হয়েছেন ঘরহারা। যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অনেকেই সাগরপথে পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপীয় দেশগুলোতে। সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/বিএ/