পরিত্যক্ত খনিতে মিললো বৃহত্তম ক্রিস্টাল গুহা

ক্রিস্টাল, যা প্রাকৃতিক স্ফটিক বা বাংলায় ‘স্ফটিক পাথর’ নামে পরিচিত। কেমন হয়, যদি এমন একটা গুহা পাওয়া যায় যার চারপাশে ক্রিস্টাল দিয়ে মোড়ানো আছে। ঠিক এমনই স্পেনের দক্ষিণ-পূর্ব আলমেরিয়া প্রদেশে পরিত্যক্ত খনিতে লুকিয়ে রয়েছে বিস্ময়কর এই গুহা। আর এটিকে জিওড বলছেন গবেষকেরা। গত (২২ জুলাই) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে।

ভিয়েতনামে অবস্থিত সং ডুং নামক বিশ্বের বৃহত্তম গুহা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের লেচুগুইলা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই মানুষের। এসব গুহা মানুষের আবাসস্থল থেকে দূরে হওয়ায় প্রকৃতির বিস্ময়কর রহস্য সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তবে গুহার ভেতরে থাকা ক্রিস্টাল গবেষকদের মাঝে বিস্ময় তৈরি করেছে।

জিওড হলো পাথরের মাঝে ক্ষয়প্রাপ্ত স্থান বা গর্ত। যা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক দ্বারা আবৃত থাকে। এ বিষয়ে পুলপি জিওডের গবেষক ও ভূতাত্ত্বিক মিলা ক্যারিট্যারো মনে করেন, অনেকেই এটিকে ম্যক্সিকো’র নাইকা মাইনের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। কিন্তু জিওডের দিক দিয়ে তুলনা করলেও এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জিওড। গবেষকরা বলছেন, প্রাকৃতিক এই জিওডের উচ্চতা দুই মিটার, গভীরতা আট মিটার।

স্থানটি ২০১৯ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ধারণা করা হয়, রৌপ্য খনিতে কাজ করার সময় শ্রমিকরা প্রথম এর সন্ধান পায়। এই খনিতে ১৮৭৩ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত  শ্রমিকরা কাজ করেছেন।

১৯৯৯ সালে এই বিস্ময়কর জিওড আবারও ভূতাত্ত্বিকদের নজরে আসে। গবেষকদের ধারণা এই স্থানটি একসময়ে সম্পূর্ণ পানিতে ঢাকা ছিল। নির্দিষ্ট সময় পর, আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ পাললিক শিলাগুলোকে ভেঙে ফেলে এবং সেখানে গরম তরল পদার্থ দিয়ে পূর্ণ করে। সেই তরল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, তা চোখ ধাঁধানো স্ফটিক তৈরি শুরু করে। সময় যত যায় স্ফটিকের আকার ততো বাড়ে। গবেষকেরা এই স্ফটিকের সঠিক বয়সকাল নিয়ে দ্বিধা- দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই মিলিয়ন বছর আগে থেকে এই স্ফটিকগুলো বাড়তে শুরু করে।

সূত্র: বিবিসি।