মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ

ইরানে পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে শনিবার কানাডার মন্ট্রিল ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। খবর এএফপি'র।

এদিন সমাবেশে অংশ নিতে ভ্যাঙ্কুভার, টরেন্টো ও রাজধানী অটোয়াসহ কয়েকটি বড় শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

মাহশা আমিনির মৃত্যুতে ইরানেও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৭৫ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে দাবি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর।

শনিবার কানাডতেই নয়, তেহরানের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে কুর্দি সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে হোয়াইট হাউজের গেটের বাইরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার মন্ট্রিলে বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন নারী নিজের চুল কেটে প্রতিবাদ জানান।

উল্লেখ্য, জনগণের মধ্যে থাকা ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর। ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহশা ইরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দেশটির কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৈতিকতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার মৃত্যুর সঙ্গে দেশটির হিজাব আইন পড়েছে বিরোধিতার মুখে। ইরানে রাজনীতি, অভিভাবকত্ব, অফিস ও বাসায় নারীদের দ্বিতীয় সারিতে ফেলা সবচেয়ে প্রকাশ্য ধর্মশাসন এই হিজাব ও পোশাক আইন।

চলমান প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের জ্বালানো আগুনে অনেক নারী তাদের হিজাব পোড়াচ্ছেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সামনে চুল খুলে নাচছেন, যা শাসকদের প্রতি প্রকাশ্য অবাধ্যতার সুনির্দিষ্ট চিত্র হাজির করছে।