ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা কানাডার

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা। সোমবার কানাডা সরকারের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

কানাডা সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মধ্যে নারীদের প্রতি পদ্ধতিগত নিপীড়ন এবং বিশেষ করে কথিত ‘নৈতিকতা পুলিশ’ কর্তৃক সংঘটিত জঘন্য কর্মকাণ্ডের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এই নৈতিকতা পুলিশের হাত আটকের পরই কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়।

নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এবং দেশটির গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ ২৫ জন ব্যক্তি এবং ৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী ইসমাইল খতিব, রাষ্ট্রচালিত প্রেস টিভি এবং দেশটির নৈতিকতা পুলিশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, ‘ইরানি নারীদের ওপর অব্যাহত ও পদ্ধতিগত নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। কানাডা ইরানিদের সাহস ও কাজের প্রশংসা করে এবং নিজেদের অধিকার ও মর্যাদার জন্য লড়াইয়ে করার সময় তাদের পাশে দাঁড়াবে।’

এদিকে ইরানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর ওপর নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটির সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় হোয়াইট হাউজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার কথা বলেন জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানে সমান অধিকার এবং মৌলিক মানবিক মর্যাদার দাবি তোলা শিক্ষার্থী ও নারীসহ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমনপীড়নের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ওয়াশিংটন।