আইসিইউতে বেলারুশের কারাবন্দি নেত্রী মারিয়া

বেলারুশের কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভাকে হাসপাতালের আইসিউইতে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। 

কোলেসনিকোভার সহযোগীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলারুশের পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমেলের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ৪০ বছর বয়সী কোলেসনিকোভা অবস্থা গুরুতর হয়।

কোলেসনিকোভার টুইটার অ্যাকাউন্টে তার সহযোগীরা লিখেছেন, মারিয়া কোলেসনিকোভাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৮ নভেম্বর অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। বুধবার তাকে সার্জিক্যাল বিভাগে স্থানান্তর করা হবে।

চলতি মাসের শুরুতে কোলেসনিকোভাকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল। কেন তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল, তার সহযোগীরা সেটি নিশ্চিত করেননি। তবে তারা বলেছেন যে, তার ‘সার্জিক্যাল প্যাথলজি’ ছিল। দেশটির কারা কর্তৃপক্ষের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর দেশটিতে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধীরা ও জনগণ দাবি তোলে যে, নির্বাচন হয়েছে ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে এবং প্রকৃত বিজয়ী ছিলেন আরেক নারী নেত্রী স্বেতলানা তিখানভস্কায়া।

লুকাশেঙ্কোর কড়া সমালোচক ছিলেন কোলেসনিকোভা। রাজনৈতিক সংকটে তার নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে গণবিক্ষোভ ও ধর্মঘট পালিত হয়েছিল। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের পর অজ্ঞাতনামা মুখোশ পরা ব্যক্তিরা রাজধানী মিনস্ক থেকে তাকে অপহরণ করে।

অপহরণের পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তাকে ইউক্রেনে নির্বাসনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় সীমান্তে তিনি তার পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলেন এবং গাড়ির জানালা দিয়ে বেরিয়ে যান। পরে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানের জন্য অভিযুক্ত করে কোলেসনিকোভাকে ২০২১ সালে ১১ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সব ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।