থাইল্যান্ডের ডিটেনশন সেন্টারে উইঘুর আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যু

গুরুতর অসুস্থ হয়ে থাইল্যান্ডে মারা গেছেন উইঘুর এক আশ্রয়প্রার্থী। ৪৯ বছরের ওই আশ্রয়প্রার্থীর নাম আজিজ আবদুল্লাহ। ব্যাংককের ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে তার মৃত্যু হয়। আবদুল্লাহ’র এই মৃত্যু ৯ বছর ধরে থাইল্যান্ডের ডিটেনশন সেন্টারে থাকা অন্তত ৫০ আশ্রয়প্রার্থীর দুর্দশা ফের আলোচনায় নিয়ে এসেছে।    

বিবিসির খবরে বলা হয়, ৩৫০ জনের বেশি উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্যের সঙ্গে ২০১৩ সালে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড আসেন আব্দুল্লাহ। তারপর থেকে তিনি থাইল্যান্ডে আটক ছিলেন। আজিজ আবদুল্লাহকে ব্যাংককের ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

জিনজিয়াং-এ উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ‘পুনঃশিক্ষা শিবির’ নামে একটি বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটকে রেখেছে।

আজিজ আবদুল্লাহ দক্ষিণ-পশ্চিম জিনজিয়াংয়ের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইসলামি নেতা ছিলেন। ২০১৩ সালের শেষের দিকে গর্ভবতী স্ত্রী, ভাই এবং সাত সন্তানের সঙ্গে তিনি থাইল্যান্ডে আসেন।

ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে তার সঙ্গে থাকা বন্দীরা বলছেন, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আব্দুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। থাই কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে পাঠাতে অস্বীকার করেছিল।

বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক রিফিউজি সেন্টারের পরিচালক পোলাট সায়িম বলেন, ‘তার কাশি হচ্ছিল। রক্ত ​​বমিও করছিলেন। কিছুই খেতে পারতেন না তিনি। আইডিসির একজন ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে বলেছিলেন যে তার অবস্থা স্বাভাবিক।’

শেষ পর্যন্ত আব্দুল্লাহ মেঝেতে পড়ে গেলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। দ্রুত নেওয়া হয় হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়, ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে এই মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: বিবিসি