কৈশোরের প্রেমে ভাঙন, সহযোগিতায় ৪০ লাখ ডলারের প্রকল্প

কিশোর বয়সের প্রেম সবসময় অন্য রকম। এমন প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন দেখা দিলে কিশোর-কিশোরীদের জীবনে অনেক সময় বড় প্রভাব পড়ে। অনেক সময় সম্পর্কে বিচ্ছেদ খারাপভাবে ঘটলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জীবনে। আর তাই এই বয়সীদের প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদের ধকল কাটিয়ে উঠার জন্য লাখো ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে নিউ জিল্যান্ড।

বুধবার দেশটিতে চালু হয়েছে ‘দ্য লাভ বেটার’ নামের এই প্রকল্প। তিন বছরে সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পে ব্যয় করবে ৪০ লাখ ডলার। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো সম্পর্কে বিচ্ছেদের ধকল কাটিয়ে উঠতে কিশোর-কিশোরীদের সহযোগিতা এবং সম্পর্কের ক্ষতি যাতে ন্যূনতম থাকে তা নিশ্চিত করা।

নিউ জিল্যান্ডের তরুণদের কথা মাথায় রেখে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার বলছে, তরুণরা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে শনাক্ত করেছে।

সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থা মন্ত্রণালয়ের সহযোগী মন্ত্রী প্রিয়াঙ্কা রাধাকৃষ্ণ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১ হাজার ২০০ জনের বেশি তরুণ আমাদের বলেছে তাদের কিশোর বয়সের ভালোবাসা ও কষ্ট মোকাবিলায় সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদকে তারা সাধারণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

কর্মসূচির প্রচারের জন্য একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে বেশ কয়েকজন কিশোর-কিশোরীর আলোচনার ক্লিপ স্থান পেয়েছে। এগুলোতে তারা বলছেন তাদের সাবেকের কথা ভুলে যাওয়া এবং অতীতের সম্পর্কে আটকে না থাকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। একজনকে বলতে দেখা যায়, এটি খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে, অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমার রাতে ঘুমানো দরকার। আমার তাকে ভুলে যাওয়া উচিত।

এই প্রকল্পের একটি ফোন নম্বর রয়েছে। এতে সম্পর্কে বিচ্ছেদের মধ্যে থাকা কিশোর-কিশোরীরা ফোন, ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে পারবেন। এমনকি ইমেইলে সহযোগিতা চাইতে পারবেন। এটি পরিচালনা করছে ইয়ুথলাইন নামের একটি সংস্থা। ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের সহযোগিতা করাই সংস্থাটির লক্ষ্য। মন্ত্রণালয়ের ৪০ লাখ ডলারের তহবিলের একটা অংশ পাবে ইয়ুথলাইন।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শায়ে রোনাল্ড বলেছেন, সম্পর্কে বিচ্ছেদ যদি বাজেভাবে ঘটে সেটির নেতিবাটক প্রভাব খুব খারাপ হবে, এটি আমরা সবাই ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে জানি।

দ্য লাভ বেটার নামের প্রকল্পটি নিউ জিল্যান্ড সরকারের পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন সহিংসতা নির্মূল করতে বৃহত্তর জাতীয় কৌশলের একটি অংশ।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান