বিমান বিধ্বস্তের দুই সপ্তাহ পর চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার

কলম্বিয়ার আমাজন জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর তিন শিশু ও এক নবজাতককে জীবিত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

১৭ দিন আগে আমাজনে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এতে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হন। সেদিন থেকে ওই বিমানে থাকা বাকি সদস্যদের সন্ধানে স্নিফার কুকুরসহ শতাধিক সেনা মোতায়েন করেছিল কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ।    

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বুধবার এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কঠোর অনুসন্ধান প্রচেষ্টার কারণে শিশুদের খুঁজে পাওয়া গেছে। এটি দেশের জন্য একটি আনন্দের খবর’।

এর আগে বুধবার কলম্বিয়ার সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছিল, উদ্ধারকারীরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, ঘটনাস্থলে জীবিত ব্যক্তিরা আছেন। 

বিধ্বস্ত বিমানের মালিক এভিয়ানলাইন চার্টার্স জানান, অনুসন্ধান এলাকায় তাদের একজন পাইলটকে শিশুদের বিষয়ে বলা হয়েছে। শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই জীবিত। যদিও উদ্ধারের বিষয়টি সরকারি কোনও সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। 

সশস্ত্র বাহিনীর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, জঙ্গলের মধ্যে কাঁচি এবং একটি চুলের ফিতা পড়ে আছে। শিশুর দুধের বোতল এবং অর্ধ-খাওয়া একটি ফলও পাওয়া গিয়েছিল সেখানে।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, ১৩, ৯, ৪ এবং ১১ মাস বয়সী চার শিশু ১ মে দুর্ঘটনার পর থেকে দক্ষিণ ক্যাকেটা বিভাগের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

সোমবার এবং মঙ্গলবার সেনারা পাইলট এবং দুই জন প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ খুঁজে পেয়েছিল। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বিমানে করে তারা কলম্বিয়ার আমাজন রেইনফরেস্টের অন্যতম প্রধান শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারে যাচ্ছিল।

নিহত যাত্রীদের মধ্যে একজন রানোক মুকুতুই। তিনি ওই চার সন্তানের মা। জাতিগতভাবে তারা হুইটোতো সম্প্রদায়ের।

কর্তৃপক্ষ বিমান বিধ্বস্তের কারণ উল্লেখ করেনি। তবে কলম্বিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সংস্থা জানিয়েছে, বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে পাইলট ইঞ্জিনে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন।

সূত্র: আল জাজিরা