পশ্চিম তীরে ৪১টি ফিলিস্তিনি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো ইসরায়েল

nonameপশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের একটি স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১০টি ফিলিস্তিনি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি নিশ্চিত করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়নমূলক সহায়তা সমন্বয়কারী সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের খিরবেত টানা গ্রামে বুধবার ফিলিস্তিনি স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ওইদিন সর্বমোট ৪১টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, যার কারণে ১১ শিশুসহ ৩৬ জন ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০৯ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত মাত্রাগত দিক থেকে ফিলিস্তিনি স্থাপনা ধ্বংসের হার সর্বোচ্চ। খিরবেত টানা গ্রামটিতে প্রায় আড়াইশো মানুষের বসবাস; যারা পশুপালন ও চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ওই এলাকাটিকে ‘ফায়ারিং জোন ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সেখানে বাসিন্দাদের ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল। আর সেকারণে বার বার এলাকাটির বাসিন্দাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবশেষ, স্থাপনা ধ্বংসের কাজ চলেছিল ৯ ফেব্রুয়ারি।’
মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক নিকোলে ম্লাদেনভ বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকে সপ্তাহে গড়ে যতগুলো স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে তা আগের বছরের সাপ্তাহিক গড়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি।’
উল্লেখ্য, অধিকৃত পশ্চিম তীরের ১৮ শতাংশ এরঅকাকে ‘ফায়ারিং জোন’ ঘোষণা করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর এসব এলাকার মধ্যে ৩৮টি ফিলিস্তিনি কমিউনিটির বসবাস। এসব এলাকায় ঘরবাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর তা উপেক্ষা করলেই ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালে এ নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করা হলেও ২০১৪ সালের জুলাই থেকে তা নতুন করে শুরু হয়।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়ে পড়ার হুমকিতে রয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা

/এফইউ/বিএ/