ইউক্রেনকে আবারও সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাদের কার্যালয়ের বিবৃতিতে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ২৪ আগস্ট ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের আগেরদিন এই ঘোষণা এলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন শুক্রবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সচিব রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে আলোচনা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, এবারের সহায়তার আর্থিক মূল্য প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকেই কিয়েভকে সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে ওয়াশিংটন। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার আর্থিক মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক সহায়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন-প্রতিরোধী সরঞ্জাম, সাঁজোয়াযান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ।

জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন অটুট আছে।

নিজ কার্যালয়ের প্রকাশিত বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘সহায়তা ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত অস্ত্রগুলো আমাদের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। বিশেষত নগর ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর সুরক্ষা জোরদার করতে বাড়তি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এই মূহুর্তে বিকল্প নেই।’

এদিকে, শুক্রবার পৃথক এক ঘোষণায় চারশ’র বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হোয়াইট হাউজ। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তালিকায় বেশ কিছু চীনা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। মস্কোকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলতে ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্যের অভিযোগে তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।