ব্রাজিলের বিমানবন্দরে আটকে আছেন কয়েকশ’ এশীয় অভিবাসী

ব্রাজিলের সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকশ’ এশীয় অভিবাসী আটকা পড়েছেন। দেশটির অভ্যন্তরে প্রবেশের অপেক্ষায় কয়েক সপ্তাহ ধরে মানবেতর অবস্থায় আছেন তারা। কর্তৃপক্ষের এই তথ্যগুলো শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিশ্চিত করেছে।

কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র বলেছেন, অন্তত ছয়শ’ ৬৬ জন অভিবাসী দেশটির গুয়ারুলহসের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করে আছেন। কিন্ত তাদের প্রবেশাধিকার অনিশ্চিত। কেননা বিদেশীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে সোমবার কঠোর আইন জারি করতে পারে সরকার। অনেকেই বিনা ভিসায় ব্রাজিল হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। তাদের ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

সোমবার থেকে ব্রাজিলের ভিসা ছাড়া ভ্রমণকারী ব্যক্তিগণকে সরাসরি তাদের গন্তব্যে যেতে হবে। অথবা নিজের দেশে ফেরত যেতে হবে। তবে ইতোমধ্যে সেখানে থাকা অভিবাসীপ্রত্যাশীদের ওপর এই নিয়ম কার্যকর হবে কিনা, তা ওই বক্তব্যে পরিষ্কার করা হয়নি।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘানা থেকে আগত ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি দু’সপ্তাহ আগে অজ্ঞাত কারণে মারা গেছেন। তবে ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরে নাকি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান, তা বক্তব্যে নিশ্চিত করা হয় নি।

তিনি জানিয়েছেন, অভিবাসীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়েছে। সেখানে চলাফেরা খুবই সীমাবদ্ধ ও গোসলের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া খাবার ও সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। শীতবস্ত্র ছাড়া তীব্র ঠাণ্ডায় প্রচণ্ড কষ্ট ভোগ করছে শিশু-যুবক সবাই।

কর্তৃপক্ষ অভিমত দিয়েছে, অভিবাসীদের স্বাস্থ্যগত হুমকির কারণে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নতুন প্রস্তাবনা ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী চুক্তির পরিপন্থী। এই চুক্তি অনুযায়ী নিজ দেশে হুমকির সম্মুখীন ব্যক্তিরা অন্য দেশে আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রাখেন। ব্রাজিল এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী।

দেশটির শরণার্থী কমিটির প্রধান জিন উয়েমা রয়টার্সকে বলেছেন, নতুন আইন কেবল সাও পাওলো বিমানবন্দরের জন্য প্রযোজ্য। আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে ব্রাজিলের নীতি অপরিবর্তিত আছে।