১৩ বছরের মেয়েকে দিয়ে রোগীর খুলিতে ছিদ্র করালেন চিকিৎসক!

নিজের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে দিয়ে রোগীর খুলিতে ছিদ্র করানোর অভিযোগ এসেছে এক অস্ট্রীয় শল্যচিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তবে রোগী জানতেন না তার সঙ্গে এমনটা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর ঘটনাটি খবরের কাগজে পড়েছিলেন তিনি। কয়েকমাস পর পুলিশ তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে হতভম্ব হয়ে যান ওই ব্যক্তি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

অস্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ক্রনেন জেইতুং জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক বন দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে করে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে স্টাইরা এলাকার গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তাকে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের জন্য নেওয়া হয়। তবে প্রধান চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের মেয়েকে অস্ত্রোপচার কক্ষে উপস্থিত থাকতে দিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমের দাবি, শিশুটিকে রোগীর খুলিতে ড্রিল দিয়ে ছিদ্র পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়।

অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল বলে দাবি করা হলেও রোগী এখনও কাজ করতে অক্ষম।

সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, এপ্রিলে পাবলিক প্রসিকিউটরে কার্যালয়ে এই ঘটনায় একটি বেনামি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। জুলাইতে ভুক্তভোগীকে সম্পূর্ণ বিষয়টি পুলিশ অবগত করে।

সেই শল্যচিকিৎসক ও অস্ত্রোপচারে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগীর আইনজীবী পিটার ফ্রেইবার্গার বলেছেন, ‘কল্পনা করুন, আপনি শুয়ে আছেন চেতনাহীন অবস্থায়। আর আপনাকে গিনিপিগ বানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যভাবে বিষয়টি আমি ব্যাখ্যা করতে পারছি না। এসব কেউ করতে পারে না। উপস্থিত সবাইকে এই ঘটনার দায়ভার বহন করতে হবে।’

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যোগাযোগের চেষ্টা করেনি। কোনও ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করা হয়নি।’

এক ট্রমা সার্জন বিশেষজ্ঞ ম্যানফ্রেড বোগনার বলেছেন, ‘অস্ত্রোপচারকক্ষে কেবল দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রবেশাধিকার আছে, আর কারও নয়। আর একটি শিশুকে মারাত্মকভাবে আহত কারও খুলিতে ড্রিল দিয়ে ছিদ্র করতে দেওয়া মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

এই বিষয়ে গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে স্কাই নিউজ ।