গরু-মহিষ পাচারকালে দুই বাংলাদেশিকে আটকের দাবি বিএসএফের

ভারেতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলাসংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে গরু ও মহিষ পাচারের সময় দুই বাংলাদেশিকে আটকের দাবি করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বাহিনীটির দাবি, প্রবল বৃষ্টিতে ভাগীরথী ও পদ্মা নদীতে পানির স্তর বেড়ে গেছে। এ কারণে কোথাও কোথাও মুছে গেছে ভৌগোলিক সীমাও। এই সুযোগে গরু পাচারকারীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। 

নদীপথ দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করতে গিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে পাঁচ জন আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি বলে দাবি করেছে বিএসএফ। বাহিনীটি জানিয়েছে, অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৩২টি গবাদি পশু। তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত দুই বাংলাদেশি হলেন, মোহাম্মদ রুবেল (৩৩) ও মোহাম্মদ আমানুল্লাহ (৩৫)। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁও জেলার পোরশা থানার অন্তর্গত দ্বারপাল ও জুগিডাঙ্গা গ্রামে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। 

আটককৃতদের স্থানীয় হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 

বিএসএফ সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোরে মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আউটপোস্ট কেদারিপথে দায়িত্বে থাকা ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের চোখে পড়ে পাচারকারীরা। সীমান্ত থেকে ৫০০ মিটার দূরে ডল্লা গ্রামের বাইরে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি দল গরু-মহিষ নিয়ে যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন বিএসএফ জওয়ানেরা। কিন্তু বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। তাদের আটকানোর জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় বিএসএফ। তখন সন্দেহভাজনরা পালানোর চেষ্টা করলে বিএসএফ ধাওয়া করে চোরাকারবারিদের ঘিরে ফেলে এবং দুই বাংলাদেশিকে আটক করে। 

উল্লেখ্য, মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ১৭১ কিলোমিটার। এরমধ্যে জল সীমান্ত ও কাঁটাতারহীন এলাকাও রয়েছে। সীমান্ত কড়া নজরদারির চলছে। বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টটিয়ারের মুখপাত্র নীলোৎপল পান্ডে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রহরা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কাঁটাতারহীন এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি চলছে। জলসীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।