বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা এবং হিজবুল্লাহকে সমর্থন করার জন্য লেবাননের কয়েকজন নাগরিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিবৃতিতে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। লেবাননের কতজন নাগরিককে বহিষ্কার করা হয়েছে তাও জানানো হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে লেবাননের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, ১০টি পরিবারকে বাহরাইন ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লেবাননের প্রায় ৭৫০ জন নাগরিক বাহরাইনে বসবাস করেন।
মিসরের রাজধানী কায়রোয় আরব লিগের বৈঠক থেকে হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার তিনদিনের মাথায় বাহরাইন এ পদক্ষেপ নিল। অবশ্য, আরব লিগের বৈঠকে হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার প্রস্তাবের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে ইরাক ও লেবানন।
শিয়াপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহ লেবাননের একটি প্রধান রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি। সংগঠনটি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরান সমর্থিত আসাদ সরকারের পক্ষ হয়ে লড়াই করছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষে হিজবুল্লাহর সমর্থনে ক্ষুব্ধ আরব দেশগুলো। মূলত তার প্রতিক্রিয়াতেই সম্প্রতি আরব লিগ দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয়।
১১ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার মিসরের কায়রোতে আরব লীগের এক বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কমিটি শুক্রবার হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরব লিগের এ প্রস্তাবের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-জাফরি বলেন, হাশদ শাবি ও হিজবুল্লাহ আরবদের মর্যাদা রক্ষা করেছে। তাই এ দুই সংগঠনকে যারা সন্ত্রাসী বলবে, তারাই সন্ত্রাসী।
আরব লীগের ওই বৈঠকে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানেরও সমালোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বাহরাইনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে ইরান। হিজবুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহরাইনে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে।
সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইরান ও শিয়াপন্থী সংগঠনগুলোর বিরোধ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সৌদি আরব শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় এ বিরোধ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। বিরোধের এক প্রান্তে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো। আর অন্য প্রান্তে আছে ইরান ও তার মিত্র শিয়া নেতা ও সংগঠনগুলো। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।
/এমপি/