ফিলিপাইনে মোতায়েনকৃত ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের স্থান পরিবর্তন করলো যুক্তরাষ্ট্র  

ফিলিপাইনের লাওয়াগ বিমানবন্দরে মোতায়েন করা টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার লুজন দ্বীপে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম এই লঞ্চারগুলো হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফিলিপাইন সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন,  নতুন অবস্থানে লঞ্চারগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের কারণে সংঘাতের সময় তাদের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। সেসব ক্ষেত্রে নতুন কোনও ফায়ারিং অবস্থানে কত দ্রুত লঞ্চারগুলো সরিয়ে আনা যাবে, তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। ফলে এগুলোর সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে।

লঞ্চারগুলোতে টমাহক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়। এগুলো ফিলিপাইন থেকে চীন ও রাশিয়া উভয় দেশের লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়া এগুলো এসএম সিক্স মিসাইলও নিক্ষেপ করতে পারে, যা দুশ কিলোমিটার দূরবর্তী নৌ বা আকাশপথের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে।

মিডলবিউরি ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক জেফরি লুইস জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট চিত্রে লাওয়াগ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লঞ্চার ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম সি-১৭ পরিবহন বিমানে তোলার দৃশ্য দেখা গেছে।

এক সামরিক মহড়ার সময় গত এপ্রিলে লঞ্চারগুলো প্রথমবারের মতো ফিলিপাইনে মোতায়েন করা হয়। তখনই এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল চীন। এরপর সেপ্টেম্বরে এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন জানায়, অদূর ভবিষ্যতে লঞ্চারগুলো ফিলিপাইন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মস্কো ও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিচ্ছে হোয়াইট হাউজ।

টাইফুন তুলনামূলক সহজে উৎপাদনযোগ্য, কারণ এগুলো পুরোনো নকশা ও বিদ্যমান মজুদ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের অগ্রগতির বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিযোগিতা করতে সাহায্য করতে পারে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সংখ্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সামরিক ক্রয়ের একটি নথি যাচাই করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাণ্ডারে ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে আট শতাধিক এসএম সিক্স ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের কথা রয়েছে তাদের।