বিক্ষোভকারীর কলার টেনে ধরলেন ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার!

ট্রাম্পের সমাবেশে এক ব্যক্তির শার্টের কলার টেনে ধরা হয়শনিবার আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের টাকসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থিতা প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশ আবারও বিক্ষোভের কবলে পড়েছে। বিক্ষোভকালে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার (প্রচারণা ব্যবস্থাপক) লেওয়ানদৌস্কির বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভকারীর শার্টের কলার টেনে ধরার অভিযোগ উঠেছে। ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক সংবাদকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার ১১দিন পরই আবারও বিতর্কের মুখে পড়ে বিপাকে পড়েছেন লেওয়ানদৌস্কি। এরইমধ্যে অনলাইনে কলার টেনে ধরার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ট্রাম্পের প্রচারণাবিষয়ক মুখপাত্র হোপ হিকস ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেছেন, লেওয়ানদৌস্কি ওই ব্যক্তির কলার চেপে ধরেননি, তার পাশের ব্যক্তি এ কাজ করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশগুলো বিরোধীদের বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠছে। বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের টাকসনে অনুষ্ঠিত সমাবেশটিও বিক্ষোভের কবলে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, টাকসনের নির্বাচনি সমাবেশ চলার সময় এক বিক্ষোভকারী কালো কোট পরিহিত লেওয়ানদৌস্কি ও আরেক ব্যক্তির সঙ্গে উত্তেজিত স্বরে কথা বলছেন। তখনই একটি হাত বিক্ষোভকারীর কলার চেপে ধরে।
ট্রাম্পের সমাবেশের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ

সিবিএস নিউজের রিপোর্টার জ্যাকেলিন অ্যালেমানির দাবি, যে ব্যক্তি কলার চেপেছেন তার নাম কোরে লেওয়ানদৌস্কি। কারণ, যে ব্যক্তির হাতটি কলার চেপে ধরেছিল তার কোটের রং আর লেওয়ানদৌস্কির কোটের রং একই।

তবে ট্রাম্পের প্রচারণাবিষয়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, সেটি লেওয়ানদৌস্কির হাত ছিল না, বরং তা তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির হাত। প্রচারণা মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারী যে লোকটির সঙ্গে চিৎকার করে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তিনি লেওয়ানদৌস্কি নন। ট্রাম্প তার সমাবেশে সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেন না।’

ফ্লোরিডায় নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পএর আগে চলতি মাসের শুরুতে লেওয়ানদৌস্কির বিরুদ্ধে মিশেল ফিল্ডস নামের এক রিপোর্টারকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সেসময় ট্রাম্পের প্রচারণা কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল। ফিল্ডসের অভিযোগকে বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প।
শনিবার টাকসনের একই সমাবেশে আরেক বিক্ষোভকারীকে ট্রাম্পের সমর্থকরা ধাক্কা ও লাথি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
শনিবার ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা আরিজোনার প্রধান সড়কটি অবরোধ করেন। ‘ট্রাম্পকে আস্তাকুড়ে ফেলুন’ স্লোগানসম্বলিত পোস্টার নিয়ে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভে অংশ নেন। এছাড়া ফাউন্টেন হিলসের সমাবেশকে সামনে রেখে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হলে ট্রাম্পের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। নিউ ইয়র্কেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে টাকসনের সমাবেশে অংশ নিয়ে বিক্ষোভকারীদেরকে খ্যাতিনাশকারী বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা হিলারি ক্লিনটনের লোক বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সূত্র: গার্ডিয়ান, হাফিংটন পোস্ট, সিএনএন, বিবিসি
/এফইউ/বিএ/