সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশগুলো বিরোধীদের বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠছে। বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের টাকসনে অনুষ্ঠিত সমাবেশটিও বিক্ষোভের কবলে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, টাকসনের নির্বাচনি সমাবেশ চলার সময় এক বিক্ষোভকারী কালো কোট পরিহিত লেওয়ানদৌস্কি ও আরেক ব্যক্তির সঙ্গে উত্তেজিত স্বরে কথা বলছেন। তখনই একটি হাত বিক্ষোভকারীর কলার চেপে ধরে।
সিবিএস নিউজের রিপোর্টার জ্যাকেলিন অ্যালেমানির দাবি, যে ব্যক্তি কলার চেপেছেন তার নাম কোরে লেওয়ানদৌস্কি। কারণ, যে ব্যক্তির হাতটি কলার চেপে ধরেছিল তার কোটের রং আর লেওয়ানদৌস্কির কোটের রং একই।
তবে ট্রাম্পের প্রচারণাবিষয়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, সেটি লেওয়ানদৌস্কির হাত ছিল না, বরং তা তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির হাত। প্রচারণা মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারী যে লোকটির সঙ্গে চিৎকার করে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তিনি লেওয়ানদৌস্কি নন। ট্রাম্প তার সমাবেশে সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেন না।’
শনিবার টাকসনের একই সমাবেশে আরেক বিক্ষোভকারীকে ট্রাম্পের সমর্থকরা ধাক্কা ও লাথি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
শনিবার ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা আরিজোনার প্রধান সড়কটি অবরোধ করেন। ‘ট্রাম্পকে আস্তাকুড়ে ফেলুন’ স্লোগানসম্বলিত পোস্টার নিয়ে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভে অংশ নেন। এছাড়া ফাউন্টেন হিলসের সমাবেশকে সামনে রেখে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হলে ট্রাম্পের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। নিউ ইয়র্কেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে টাকসনের সমাবেশে অংশ নিয়ে বিক্ষোভকারীদেরকে খ্যাতিনাশকারী বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা হিলারি ক্লিনটনের লোক বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সূত্র: গার্ডিয়ান, হাফিংটন পোস্ট, সিএনএন, বিবিসি
/এফইউ/বিএ/