তিব্বতের আধ্যাত্মিক গুরু দালাইলামা সঠিক পথে ফিরবেন, বিশ্বাস চীনের

তিব্বতের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক গুরু দালাই লামা সঠিক পথে ফিরে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে চীন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একই বক্তব্যে তারা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট শর্তশাপেক্ষে দালাই লামার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করবে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেছেন, দেশ ভাঙার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নিলে দালাই লামার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী আছে বেইজিং।

তিনি আরও বলেছেন, তিব্বত ও তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে দালাই লামার।

চীনের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তিব্বতি বুদ্ধধর্মের এই নেতা। তার পারিবারিক নাম তেনজিং গিয়াতসো। চলতি বছর তার বয়স ৯০ হতে চলেছে। মৃত্যুর আগে অন্তত হলেও তিনি দেশের মাটিতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার প্রেক্ষাপটেই চীনের এই বক্তব্য।

দালাই লামার বড় ভাই গিয়ালো থোনডাপের মৃত্যু নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কথার ডালপালা ছড়ালে ওপরের বক্তব্য দিয়েছেন গুয়ো জিয়াকুন। শনিবার ৯৭ বছর বয়সে ভারতের কালিম্পং শহরে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।

দেশ ছাড়ার পর তিব্বতের প্রবাসী সরকারের রাজনৈতিক নেতার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি। তবে ২০১১ সালে স্বেচ্ছায় দায়িত্বে অব্যাহতি দেন।

দালাই লামার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে তার উত্তরসূরি মনোনয়নের বিষয়টিও অতীব জরুরি হয়ে পড়ছে। তিব্বতি বিশ্বাস অনুযায়ী, তেনজিং গিয়াতসোর মৃত্যুর পর তার পুনর্জন্ম হবে। প্রত্যেক দালাই লামা নিজের উত্তরসূরির বিষয়ে কিছু ইঙ্গিত দিয়ে যান। তবে এই উত্তরসূরি মনোনয়নের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য গোঁ ধরে আছে বেইজিং।

এদিকে, উত্তরসূরির বিষয়ে জুলাই মাসে নিজের ৯০তম জন্মদিনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন দালাই লামা।