এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেনি হামাস, অভিযোগ ইসরায়েলের

গতকাল ইসরায়েলের কাছে চার ব্যক্তির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। তবে তাদের একজন ৭ অক্টোবরের হামলার জিম্মি ছিলেন না বলে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দাবি করছে তেল আবিব। ইসরায়েলের অভিযোগ, শুরু থেকেই নাজুক যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হস্তান্তরকৃতদের মধ্যে ছিল দুই শিশু- কেফির বাইবাস ও তার চার বছর বয়সী ভাই অ্যারিয়েল বাইবাস। শিশুদের সঙ্গে তাদের মা শিরির মরদেহও থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে কফিনে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে, যিনি ৭ অক্টোবর হামলার জিম্মির তালিকায় নেই।

শিরিসহ সব মৃত ও জীবিত জিম্মির মুক্তি দাবি করে সেনাবাহিনীর ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শর্ত অনুযায়ী চার জিম্মির মরদেহ হস্তান্তরে বাধ্য ছিল হামাস। কিন্তু তারা শর্তে চরম লঙ্ঘন করেছে।

আরেক নিহত জিম্মি ওদেদ লিফশিৎযকে শনাক্ত করা গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

ইসরায়েলের অভিযোগের বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

চার জিম্মির মরদেহ হস্তান্তরের পর হামাসের ওপর আবারও প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবরের যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে এখন ইসরায়েল আরও বেশি দায়বদ্ধ।

এদিকে, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনায় পড়েছে হামাস। সাধারণ ফিলিস্তিনি ও হামাস সদস্যদের উপস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত এক জনসমাবেশের মধ্যে দিয়ে ওই চার কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, এভাবে মৃতদের অসম্মান করেছে হামাস।

জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক জানিয়েছেন, মরদেহ ও কফিন প্রদর্শনীর যে নজির আজ সকালে হামাস দেখিয়েছে, তাকে ভয়াবহ ও ঘৃণ্য বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হস্তান্তরের সময় মৃত ব্যক্তি ও তার স্বজনদের সম্মান নিশ্চিত করার একটি দায়িত্ব রয়েছে।