ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের নিয়ে বিচারকের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বন্দ্ব

আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের বহিষ্কার করে থাকলে ট্রাম্প প্রশাসনকে তার জন্য পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। বুধবার (১৯ মার্চ) এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিচারক ওয়াশিংটনভিত্তিক মার্কিন জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

প্রশাসনের কাছে তাদের কাজের ব্যাখ্যা চেয়ে বোয়াসবার্গ বলেছেন, সংবেদনশীল জাতীয় নিরাপত্তা তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করতে না চাইলে স্টেট সিক্রেটস ডকট্রিন প্রয়োগ করে প্রশাসন তাদের জবাব জানাতে পারে।

অবশ্য এই বিষয়টির যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। কারণ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এই বহিষ্কারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছিলেন।

বিচারকের বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আদালতের দ্বন্দ্বকে আরও উসকে দিয়েছে। ত্যক্তবিরক্ত ট্রাম্প মঙ্গলবার এক বক্তব্যে বোয়াসবার্গের অভিশংসন আহ্বান করে বসেন। এই আহ্বানের জবাবে, মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বিরল এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা জানান।

গত শনিবার অভিযুক্ত ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কারে বোয়াসবার্গ ১৪ দিনের স্থগিতাদেশ দিলেও পরদিনই তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এই পদক্ষেপ কার্যকরে যুদ্ধকালীন এক আইন ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের আদেশ অমান্য করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন বোয়াসবার্গ।

তিনটি উড়োজাহাজে করে অভিযুক্তদের এল সালভাদরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার একটি আটককেন্দ্রে তাদের রাখা হয়েছে।

বোয়াসবার্গ প্রথম দুটি উড়োজাহাজের মার্কিন ভূখণ্ড থেকে উড্ডয়ন ও এল সালভাদরে অবতরণের সঠিক সময় জানাতে ট্রাম্প প্রশাসনকে আদেশ দিয়েছেন। তাদের জবাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তবে, বোয়াসবার্গ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছে প্রশাসন।