নির্বাচন ছাড়াই ২০২১ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে মালির সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় দেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল প্রধান বিরোধী দলগুলো। তবে বুধবার (৭ মে) এক ঘোষণার মাধ্যমে মালিতে রাজনৈতিক কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ জারি করে অনির্বাচিত সরকার। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মালিতে সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার ব্যাপক বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল বিরোধীরা। তবে, সমাবেশের দু-দিন আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে জান্তা সরকার জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে এ পর্যন্ত দুবার সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছেন সেনাপ্রধান আসসিমি গোইতা। সর্বশেষ ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসে পরের বছরই নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তবে সে পরের বছর আর যেন কোনও দিন না আসে, তিনি যেন সে বন্দোবস্তই করতে চলেছেন। এ তিন বছরে নির্বাচনের নামগন্ধ তো পাওয়া যায়নি, উলটো দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট নিয়ে ফেলেছেন।
ওই দলগুলো আরও দাবি করে, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোকে যেন বিলুপ্ত করা হয়। পাশাপাশি, নতুন দলের মনোনয়নের জন্য বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হয়।