যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত ক্যাপিটাল জিউয়িশ মিউজিয়ামের বাইরে এই অপরাধ সংঘটিত হয়। হত্যায় জড়িত এক সন্দেহে হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, নিহত কর্মীর একজন নারী এবং অন্যজন পুরুষ। তারা ছিলেন বাগদত্তা যুগল, শিগগিরই যাদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল।
ঘটনার পর একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটান পুলিশ প্রধান পামেলা স্মিথ। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি হচ্ছে ৩০ বছর বয়সী এলিয়াস রদ্রিগেজ। ঘটনার আগে তাকে জাদুঘরের বাইরে অস্থিরভাবে পায়চারি করতে দেখা যাচ্ছিল। অবশ্য, পুলিশের কাছে আটক হওয়ার কোনও পূর্ববর্তী রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
পুলিশের দাবি, হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ বলে বিড়বিড় করতে থাকেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিশ্চিতভাবে ইহুদিবিদ্বেষের কারণেই ডিসির (ওয়াশিংটন ডিসি) হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এগুলো অবশ্যই এখনই বন্ধ হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদ্বেষ এবং চরমপন্থার কোনও স্থান নেই।
দুই ইসরায়েলি কর্মীকে হত্যার ঘটনাকে ইহুদিবিদ্বেষ প্রসূত সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যা করেছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলি প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, কূটনীতিবিদ এবং ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর মাধ্যমে সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই অপরাধের বিরুদ্ধে মার্কিন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করছি।