ব্রাসেলসের ঘটনায় মুসলিমবিদ্বেষী টুইট, বিপাকে ব্রিটিশ নাগরিক

আলোচিত সেই টুইটবেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে মঙ্গলবারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় টুইটারে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে বিপাকে পড়েছেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্রাসেলসের হামলার পর বর্ণবাদী ঘৃণা উদ্দীপক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা।
ওই টুইটে বলা হয়েছে, “গতকাল আমি ক্রয়ডন এলাকায় এক মুসলিম নারীর মুখোমুখি হয়েছি। আমি তাকে ব্রাসেলসের বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে কিছু ঘটেনি।’ একটা সাদামাটা উত্তর।”
ওই পোস্টের ঘটনায় বুধবার রাতে ক্রয়ডন এলাকা থেকে ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সাউথ লন্ডন পুলিশ স্টেশনে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেওয়া ওই পোস্টটি অল্প সময়ের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। নিজেদের প্রতিক্রিয়াসহ পোস্টটি শেয়ার করেন অনেকে। এর প্যারোডিও তৈরি করেন অনেকে।

এই পোস্টের একটি প্যারোডিতে বলা হয়েছে, “গতকাল আমি ক্রয়ডন এলাকায় এক আইরিশ নারীর মুখোমুখি হয়েছি। আমি তাকে ব্রাসেলসের বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে কিছু ঘটেনি।’ একটা সাদামাটা উত্তর।”

লিসা হোল্ডসওয়ার্থ নামের একজন লিখেছেন, “আমি ক্রয়ডন এলাকায় এক নারীর মুখোমুখি হয়েছি। আমি তাকে কমলালেবুর আঁচার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে কিছু ঘটেনি।’ একটা সাদামাটা উত্তর।”

ব্রাসেলস হামলায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।

২২ মার্চ ২০১৬ মঙ্গলবার ব্রাসেলসের ব্যস্ততম জাভেনতেম বিমানবন্দর ও একটি মেট্রো স্টেশনে (পাতালরেল) এক ঘণ্টার ব্যবধানে এ জোড়া হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হন। আহত হন দুই শতাধিক। ভয়াবহ এ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসের সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ইউরোপ। হামলার দায় স্বীকার করে অনলাইনে বিবৃতি দেয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এর চেয়েও ভয়াবহ হামলা আসছে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বিবৃতিটি সঠিক হতে পারে।

এ হামলার পর বেলজিয়ামে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। ইউরোপজুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা। সূত্র: বিবিসি।

/এমপি/বিএ/