হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাতিল করলেন ট্রাম্প

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল বাতিলের পর এবার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাগড়া দিলো ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে বিদেশি শিক্ষার্থী নিতে পারবে না হার্ভার্ড। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিদেশি শিক্ষার্থী বিনিময় প্রোগ্রাম বাতিল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা নতুন বিদেশি শিক্ষার্থী তো নিতে পারবেই না উলটো যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা দ্রুত অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি না হলে তাদের বৈধতা বাতিল করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের অভিযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হিংসা এবং ইহুদিবিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে এবং চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে অবৈধ এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছে হার্ভার্ড। বিশ্ববিদ্যালয়টির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।

এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ডবিরোধী অভিযানের বড় একটি ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন। এটি গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তি মোট শিক্ষার্থীর ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। মার্কিন আইনপ্রণেতা জেইমি রাসকিন বলেছেন, ট্রাম্পের আগের আদেশের বিরোধিতা করায় হার্ভার্ডের ওপর প্রতিশোধ নিলো প্রশাসন। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা এবং অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেন ট্রাম্প।

গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কাটছাঁট শুরু করেন ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈষম্যমূলক ‘গভীর সমস্যায়’ জর্জরিত উল্লেখ করে এরই মধ্যে তাদের প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে তার প্রশাসন। বিষয়টি আদালতে তুলেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।