অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে ৯ বাংলাদেশি গ্রেফতার

পশ্চিমবঙ্গে ভিন্ন ঘটনায় মোট নয়জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের গৌরিবাগ এলাকা থেকে আটজন এবং কলকাতার কালিঘাট থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ শনিবার (২৪ মে) রাতে একটি অভিযান চালায়। ওই অভিযানে নয় জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি ও এক জন ভারতীয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, খুলনার ইদ্রিস শেখ, ফারজানা খাতুন ও জুলাইকা বিবি, নড়াইলের আনারুল শেখ, সাতক্ষীরার মিলন গাজি ও জেসমিন খাতুন।

পুলিশের অভিযোগ, আটক ব্যক্তিরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে রানীনগরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ডসহ বিভিন্ন রকম জাল নথি তৈরি করে গুজরাটে পাড়ি দেন কাজের খোঁজে। কিন্তু গুজরাট, হরিয়ানা ও রাজস্থানে অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরপাকড় বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা মুর্শিদাবাদ ফিরে আসেন।

পুলিশের বয়ানে দাবি করা হয়, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা শুরু করেন তারা। বহরমপুরে কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর রানিনগরের দিকে রওনা দেন। তবে পথেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। রানিনগর হয়ে দালালের সহায়তায় সীমান্ত পেরিয়ে ফের বাংলাদেশে ঢোকার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ তাদের রবিবার লালবাগ মহকুমা আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করে।

এদিকে, কলকাতার কালীঘাট থেকে এক আজাদ শেখ নামের এক ব্যক্তিকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের বরাতে দাবি করা হয়, আটক ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই তিনি প্রায় দু’বছর ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি এক সড়ক দুর্ঘটনার জের ধরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।

১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ, কলকাতার সদানন্দ রোডে একটি গাড়ি আচমকা ধাক্কা দেয় নেতাজিনগর থানার এএসআই সুষেণ দাসকে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই পুলিশকর্মী। তার বাঁ পা ভেঙে যায়, মুখ ও হাতেও আঘাত লাগে। প্রথমে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে স্থানান্তর করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত হন ওই গাড়িতে থাকা আজাদ। তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তদন্তের বিবৃতিতে লেখা হয়, অভিযুক্তের বয়স আনুমানিক ৪১ বছর। তিনি নিজেকে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু পুলিশের হাতে জমা দেওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশই জাল। পরবর্তী সময়ে আরও তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ দাবি করে, আজাদ আসলে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।