ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি শিশু ইনফ্লুয়েন্সার

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় এক ডজনের বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। চলমান মানবিক বিপর্যয়ের কারণে আরও হাজার হাজার শিশু চরম খাদ্যসংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সম্প্রতি পৃথক ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল নাজার নামক এক চিকিৎসকের নয় সন্তান এবং ইয়াকিন হামমাদ নামক এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার প্রাণ হারিয়েছে।

শুক্রবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয় ১১ বছর বয়সী ইয়াকিন। গাজায় স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং তার হাসিমাখা মুখের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিল ইয়াকিন।

বড় ভাই মোহাম্মদ হামমাদের সঙ্গে গাজার বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য খাবার, খেলনা ও পোশাক বিতরণ করতো ইয়াকিন। সে গাজাভিত্তিক একটি মানবিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল।

ইয়াকিনের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধার বার্তা ছড়িয়ে যায়। গাজার একজন ফটোসাংবাদিক মাহমুদ বাস্সাম লিখেছেন, সে দেহত্যাগ করলেও তার কাজ আমাদের জন্য আলোর দিশারী হয়ে থাকবে।

অন্য একজন লিখেছেন, স্কুলে যাওয়া এবং শৈশব উপভোগ করার বদলে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিল অন্যদের সহায়তা করতে। (এ দুঃখ প্রকাশের) ভাষা নেই, একদম কোনও ভাষা নেই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মাস ধরে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতদের অন্তত ৩১ শতাংশই শিশু। তবে, অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তিরা এই সংখ্যার বাইরে রয়েছেন। অর্থাৎ, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে শিশুদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইচ্ছাকৃত হামলা, বিশেষ করে আবাসিক ভবনে বারবার বিমান হামলা, শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি করেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।