নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের কাছ থেকে আট শতাধিক বন্দি মুক্ত

নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বোকো হারামের কাছে আটক আট শতাধিক বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ অভিযানে ২৫ বোকো হারাম সদস্য নিহত হয়েছেন এবং একজনকে জীবিত আটক করা হয়েছে বলেও সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সেনা মুখপাত্র কর্নেল সানি কুকাশেকা উসমান জানান, মঙ্গলবার ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’-এর অধীনে অভিযান চালিয়ে কুসুম্মা গ্রাম থেকে ৫২০ জনকে মুক্ত করা হয়। এ সময় তিন বোকো হারাম সদস্য নিহত হন এবং একজনকে জীবিত আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে বোকো হারাম সদস্যরা সামনে আসতে পারছেন না। তবে বোকো হারামের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বোকো হারামের তৎপরতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন

বৃহস্পতিবার নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই এলাকার ১১টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে আরও ৩০৯ জনকে বোকো হারামের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে।’ এসব অভিযানে ২২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী লাই মোহাম্মদ জানান, সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে বোকো হারামের বড় হামলা চালানোর ক্ষমতা অনেক কমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘বোকো হারামের তৎপরতাকে ভীষণ ক্ষয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে, আর এর ফলে তারা এখন আর বড় মাত্রার হামলা চালাতে সক্ষম নয়।’

সেনাবাহিনীর অভিযানে কোণঠাসা অবস্থায় বোকো হারাম আত্মঘাতী হামলা বাড়ানোর আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসের প্রথমদিকে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাইদুগুরি শহরের একটি মসজিদে দুই নারী আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান। এতে ২২ জন নিহত হন। উল্লেখ্য, মাইদুগুরি শহরেই বোকো হারামের জন্ম। মার্কিন সেনাবাহিনী বোকো হারামকে বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সশস্ত্র গ্রুপ বলে অভিহিত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বোকো হারামের তৎপরতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। সেই সাথে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও অন্তত ২৩ লাখ মানুষ। সূত্র: আলজাজিরা।  

/এসএ/