X
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লিবিয়ার ত্রিপোলিতে মিলিশিয়া প্রধান খুন, সংঘর্ষে নিহত ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ মে ২০২৫, ১৮:০২আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ১৮:০২

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রভাবশালী মিলিশিয়া নেতা আবদেল ঘানি আল-কিকলির হত্যাকাণ্ডের পর সৃষ্ট সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতেমানবাধিকার লঙ্ঘন ও শরণার্থীদের নিপীড়নের অভিযোগ থাকা এই নেতা নিহত হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

ত্রিপোলির ঘনবসতিপূর্ণ আবু সালিম এলাকাভিত্তিক শক্তিশালী সাপোর্ট ফোর্স অ্যাপারেটাস (এসএসএ)-এর প্রধান কিকলি।  তিনি ‘ঘেনিওয়া’ নামে বেশি পরিচিত। লিবিয়ায় সেনাবাহিনীর ৪৪৪তম কমব্যাট ব্রিগেডের সদর দফতরে কিকলি নিহত হন বলে আল-ওয়াসাত টেলিভিশনকে জানিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সূত্র।

এ ঘটনার পরই শহরজুড়ে গুলির শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। আবু সালিম ও সালাহ এদ্দিন এলাকায় রাতভর গোলাগুলির শব্দে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন নগরবাসী। লিবিয়ার জরুরি চিকিৎসা ও সহায়তা কেন্দ্র জানিয়েছে, সংঘর্ষের স্থানগুলো থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

দেশটির জাতীয় ঐক্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানালে রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গাড়িচালকরা দ্রুত গতিতে চলতে থাকেন, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় শোনা যায় হর্ণের শব্দ।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেন, আমি ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ শুনেছি, আকাশে লাল আলোও দেখেছি।

জাতিসংঘের লিবিয়া মিশন সব পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে বলেছে, নাগরিক ও বেসামরিক স্থাপনার ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা কিকলির নেতৃত্বাধীন এসএসএকে লিবিয়ার আটক কেন্দ্রগুলোতে সহিংসতার মূল হোতা বলে চিহ্নিত করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কিকলি ছিলেন লিবিয়ার ক্ষমতার ভারসাম্যের কেন্দ্রীয় ব্যক্তি, যিনি দুর্নীতির মাধ্যমে মিলিশিয়াদের অর্থায়ন করতেন।

উল্লেখ্য, লিবিয়া ইউরোপগামী শরণার্থীদের জন্য অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। এখানে সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ মানব পাচারকারী ও মিলিশিয়াদের দয়ার ওপর নির্ভরশীল। তাদের অনেকেই বদ্ধ কেন্দ্রে অমানবিক অবস্থায় আটক রয়েছেন।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত আন্দোলনের মাধ্যমে মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরেনি। ২০১৪ সাল থেকে দেশটি পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত। ২০২০ সালের অস্ত্রবিরতির পর বড় সংঘর্ষ বন্ধ থাকলেও রাজনৈতিক সমাধানে অগ্রগতি হয়নি, বরং মাঝেমধ্যেই নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন পক্ষ।

/এএ/
সম্পর্কিত
ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হননি খামেনি
ইসরায়েলি হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডসের প্রধান নিহত
সর্বশেষ খবর
অ্যালেনের ৩৪ বলের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড ওলটপালট
অ্যালেনের ৩৪ বলের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড ওলটপালট
কমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়, মাইকিং করেও মাস্ক পরানো যাচ্ছে না
ঈদের ফিরতি যাত্রার চতুর্থ দিনকমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়, মাইকিং করেও মাস্ক পরানো যাচ্ছে না
ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
দেশে ফিরেছেন ১২ হাজার ৮৭৭ হাজি, মৃত্যু ২৬ জনের
দেশে ফিরেছেন ১২ হাজার ৮৭৭ হাজি, মৃত্যু ২৬ জনের
সর্বাধিক পঠিত
অস্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার অভিনেতা সমু চৌধুরী
অস্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার অভিনেতা সমু চৌধুরী
নিহতদের পরিবারকে এক কোটি রুপি করে দেবে টাটা গ্রুপ
নিহতদের পরিবারকে এক কোটি রুপি করে দেবে টাটা গ্রুপ
ভারতে প্লেন দুর্ঘটনা, সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ ২০০ আরোহী নিহতের শঙ্কা
ভারতে প্লেন দুর্ঘটনা, সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ ২০০ আরোহী নিহতের শঙ্কা
নিজ এলাকায় অবরুদ্ধ নুর, সেনাবাহিনী যাওয়ার পর ফিরলেন ডাকবাংলোয়
নিজ এলাকায় অবরুদ্ধ নুর, সেনাবাহিনী যাওয়ার পর ফিরলেন ডাকবাংলোয়
টিউলিপ সিদ্দিকের সাক্ষাতের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ড. ইউনূস: বিবিসি
টিউলিপ সিদ্দিকের সাক্ষাতের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ড. ইউনূস: বিবিসি