মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ স্থান এড়িয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনগুলো। বিশেষত, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর রবিবার (২২ জুন) এই প্রবণতা আরও প্রকট হওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট-রাডার টুয়েন্টিফোর। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংস্থাটি এক্স প্রোফাইলে জানায়, গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর যে পরিবর্তিত পথে ফ্লাইট চলছিল, মার্কিন হামলার পর বাণিজ্যিক বিমানের গতিপথ এখনও সেই ধারাই বজায় রেখেছে।
তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইসরায়েলের আকাশসীমার ওপর দিয়ে কোনও বিমান চলাচল করছে না। বাড়তি সময় ও জ্বালানি খরচ করে হলেও তারা উত্তর দিকে কাস্পিয়ান সাগর এবং দক্ষিণ দিকে মিশর ও সৌদি আরব হয়ে যাতায়াত করছে।
ফ্লাইট ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য যাচাইকারী একটি প্রতিষ্ঠান সেইফ এয়ারস্পেস সতর্ক করে বলেছে, ইরানে হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিমান সংস্থাগুলোর ওপর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তাদের ভাষ্য, বেসামরিক বিমান চলাচলের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে ইরান আগে থেকেই বলে আসছে তারা মার্কিন স্বার্থজড়িত স্থানে হামলা চালাবে, যা হবে সরাসরি অথবা হিজবুল্লাহর মতো মিত্র গোষ্ঠীর মাধ্যমে।
ইসরায়েল ১৩ জুন ইরানে হামলা চালানোর পর বহু বিমান সংস্থা আশপাশের দেশে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আটকা পড়া ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে।