দেশটির সরকারি ভাষা ইংরেজি, অথচ নেতাকে ট্রাম্পের প্রশ্ন ‘ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে স্পষ্ট ইংরেজিতে কথা বলছিলেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই। তার স্পষ্ট বাচনভঙ্গি শুনে মুগ্ধ হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রশ্নও করে বসেন, বোয়াকাই এতো সুন্দরভাবে ইংরেজি বলা শিখলেন কোথায়?

তিনি যে কথা জানতেন না, সেটা হলো, লাইবেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি।

বুধবার (৯ জুলাই) হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকজন নেতা। তাদের প্রত্যেকেরই ছিল নিজস্ব ভাষা। তারা সবাই বক্তব্য প্রদানকালে ট্রাম্পের স্তুতি গাচ্ছিলেন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেগুলো বেশ উপভোগও করছিলেন।

তবে তিনি কিছুটা নড়েচড়ে বসেন, যখন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতে মাইক্রোফোন যায়। তিনি স্পষ্ট ইংরেজিতে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং আপনার আমেরিকাকে আবারও মহান করা (মেইক আমেরিকা গ্রেইট অ্যাগেইন) নীতিতে বিশ্বাস করি।

লাইবেরিয়ার জন্য মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর আগে অবতরণিকা শেষে তিনি বলেন, এই সুযোগের (হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ) জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

দেশটির সরকারি ভাষা যে ইংরেজি, তা বোধহয় জানতেন না ট্রাম্প। তাই বোয়াকাই একটি বিদেশি ভাষায় এতো সুন্দর কথা বলছেন- এই ভাবনা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন করেন, খুবই সুন্দর ইংরেজি বলেছেন। এতো সুন্দর করে কথা বলা শিখলেন কোথায়?

তার প্রশ্নে অবাক হওয়ার হাসি দেন বোয়াকাই। এরপর ট্রাম্প কী বুঝেছেন তিনিই জানেন। তিনি আরও জিজ্ঞেস করেন, লাইবেরিয়াতে (ইংরেজি শিখেছেন)?

বোয়াকাই মাথা নেড়ে সম্মানসূচকভাবে ইতিবাচক সাড়া প্রদান করেন।

তার এ কথার পর ট্রাম্প বলেন, খুবই কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়। অথচ আমার এই টেবিলেই অনেকে রয়েছেন, যারা আপনার ধারেকাছেও সুন্দর করে বলতে পারেন না।

লাইবেরিয়া দেশটি ১৮২২ সালে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের কলোনি হিসেবে গড়ে তোলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার অবসান হলে কৃষ্ণাঙ্গদের ভবিষ্যৎ আবাসস্থল সমস্যা সমাধানের নামে এই বুদ্ধি নিয়ে হাজির হয়েছিল শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরা।

দেশটিতে স্থানীয় এবং একাধিক আদিবাসী গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা থাকলেও সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স