ফকল্যান্ড দ্বীপ আর্জেন্টিনারই অংশ: জাতিসংঘ

ফকল্যান্ড দ্বীপদক্ষিণ আটলান্টিক সাগরে অবস্থিত ফকল্যান্ড দ্বীপকে আর্জেন্টিনার সমুদ্রসীমার অন্তর্বর্তী বলে রায় দিয়েছে জাতিসংঘের মহীসোপানের (মহাদেশগুলির প্রসারিত পরিসীমা অঞ্চল) সীমা নির্ধারণকারী কমিশন। আর এর মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনার সমুদ্রসীমা আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাতিসংঘের ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশটির সমুদ্র এলাকা ১৭ লাখ বর্গ কিলোমিটার বেড়েছে। জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্ত ফকল্যান্ড দ্বীপ নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার চলমান বিরোধের অবসান ঘটাবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজানা মালকোরা বলেন, ‘এই ঘোষণা আর্জেন্টিনার জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এতে আমাদের সার্বভৌমত্ব ‌আবারও নিশ্চিত হলো।’
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের তরফে বলা হয়েছে, দ্বীপের অধিবাসীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের ওপর আর্জেন্টাইন সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
ফকল্যান্ড

ফকল্যান্ড দ্বীপের প্রশাসন জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা, কিংবা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কী করতে হবে সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে ফকল্যান্ড দ্বীপে তেল ব্যবসায় বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। দ্বীপের অধিবাসীরা অনেকেই মনে করছেন, ব্যবসা খাতে এই বিনিয়োগ অর্থনীতিতে ব্যপক পরিবর্তন আনতে পারে।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনের সঙ্গে ১৯৮২ সালে সংঘটিত এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এই দ্বীপের অধিকার হারায় আর্জেন্টিনা। সূত্র: গার্ডিয়ান

/ইউআর/এফইউ/