বন্দেমাতরমই ভারতের প্রকৃত জাতীয় সঙ্গীত: আরএসএস

nonameবন্দেমাতরমকেই ভারতের প্রকৃত জাতীয় সঙ্গীত মনে করে বিজেপির মতাদর্শ সরবরাহকারী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ- আরএসএস। তারা মনে করে, গেরুয়া ঝাণ্ডাকে জাতীয় পতাকা বিবেচনা করলে সেটা ভুল হবে না। মুম্বাইয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় ইন্সস্টিটিউটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক জোশী জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।  
ভাইয়াজী জোশী সংবিধান স্বীকৃত জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে  ‘জনগণমন’ সম্পর্কে কার্যত তার আপত্তি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, গেরুয়া ঝাণ্ডাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে মানা হলে তা ভুল হবে না। এক্ষেত্রে তাঁর দাবি,  গেরুয়া ঝাণ্ডা আগে হয়েছে। তিরঙ্গা পরে হয়েছে।
জোশী বলেন, ‘জনগণমন’ এখন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এর প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এই সঙ্গীতে দেশপ্রেম ছাড়া অন্য কোনও অনুভূতির প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে জোশী বলেন,  'সংবিধানের সিদ্ধান্ত অনুসারে জনগণমন জাতীয় সঙ্গীত  হলেও প্রকৃত অর্থে বন্দেমাতরমই আসল জাতীয় সঙ্গীত।'
জোশী প্রশ্ন তোলেন, ‘জনগণ কখন লেখা হয়েছিল? কিছুদিন আগে। জনগণমন-তে যে অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে তা, রাষ্ট্রের কথা মাথায় রেখে তা করা হয়েছে। আর বন্দেমাতরম-এ যে অনুভূতি রয়েছে তা দেশের চরিত্র ও ভাবধারা তুলে ধরেছে। এই হলো জনগণমন ও বন্দেমাতরমের পার্থক্য। তবে দুটি সঙ্গীতকেই সম্মান করতে হবে।’

noname


উল্লেখ্য, বঙ্গিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বন্দেমাতরম’ কবিতা হিসেবে লিখেছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে ওই কবিতা। ১৯৫০-এ বঙ্কিমচন্দ্রের কবিতার প্রথম দুটি স্তবককে ‘জাতীয় গান’ হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত হয় জনগণমন।

ইতোমধ্যেই সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ভারত মাতা কি জয় সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের মধ্যে এই মন্তব্য করলেন জোশী। সূত্র: আইবিএন, দ্য হিন্দু

/বিএ/