কামিজ পরে মন্দিরে প্রবেশ করায় আক্রমণ

হামলার পর হাসপাতালে ত্রুপ্তি দেশাইমাত্র কয়েকদিন আগে বিস্তর জলঘোলা হওয়ার পর মহারাষ্ট্রের শনি শিংনাপুর মন্দিরে প্রবেশাধিকার পায় নারীরা। সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই নতুন বিতর্ক শুরু হল ওই রাজ্যেরই আর এক মন্দিরে। বিতর্কের সূত্রপাত আহমেদ নগরের মহালক্ষ্মী মন্দিরের গর্ভগৃহের ঢোকার সময় নারীদের পোশাক নিয়ে। শাড়ি না পরে সেলোয়ার-কামিজ পরার অভিযোগে নারী আন্দোলনকর্মী ত্রুপ্তি দেশাইয়ের ওপর চালানো হয় হামলা। মন্দিরের পুরোহিতও ওই হামলায় শামিল হতে পিছপা হননি।  
আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে অচল কাশ্মির, বন্ধ ইন্টারনেট
বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে মন্দিরের মূর্তি দর্শন করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ত্রুপ্তি দেশাই সহ ভূমাতা রণরাগিনী ব্রিগেডের আরও বেশ কয়েকজন কর্মী। অভিযোগ রয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের সময় তাদের বাধা দেয় পুলিশ ও পুরোহিত সহ অন্য ভক্তরা।
তাদের সেখানে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা অনিল দেশমুখ জানান, নারীদের সেলোয়ার-কামিজ পরে গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ। দেবী দর্শন করতে হলে শাড়ি পরে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষার বড় সমস্যা: যুক্তরাষ্ট্র
এরপর জোর করে মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ত্রুপ্তি জানান, তার চুল টেনে মারধর করা হয়, ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামাকাপড়। অকথ্য গালাগালিও করা হয় তাদের। কার্যত জোর করেই দেবী দর্শন করেন ত্রুপ্তি।
পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রুপ্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আক্রমণকারীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার ছক কষেছিল।’ ভূমাতা রণরাগিনী ব্রিগেডের সদস্যরা ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে দাবি জানান।
পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে মন্দিরের পুরোহিত বলেন, ‘হাইকোর্টে তিনি কেবল মন্দিরে প্রবেশের দাবি জানিয়েছিলেন, সেখানে পবিত্রতম স্থানে প্রবেশের দাবি জানানো হয়নি।’

নারীদের সঙ্গে মন্দিরে ত্রুপ্তি দেশাই

ডেপুটি পুলিশ সুপার ভরত কুমার রানে বলেন, ‘ত্রুপ্তি জোর করে মন্দিরে ঢুকতে চাইছিলেন, তাই তাকে আইনি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।’ তবে তার ওপর আক্রমণ করার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

আরও পড়ুন: বিশ্বের মুসলিম নেতাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার ডাক তুরস্কের  

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শনি শিংনাপুর মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকার দাবি করে ভূমাতা রণরাগিনী ব্রিগেড। মন্দিরে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর এতে ওই মন্দিরের ৪০০ বছরের পুরনো প্রথার অবসান ঘটে। সূত্র: হাফিংটনপোস্ট।

/এসএ/