আরও পড়ুন: ওবামাকে ‘ভণ্ড’ বললেন লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন
দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৭ জন। মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ৬৪৫টি। এই দফায় মোট ৩৮৩ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে, যার মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৩৩ জন।
আসনগুলোতে মূলত বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে তৃণমূল, বিজেপি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থীদের লড়াই হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে ভোট শুরুর পরপরই বীরভূম জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে জাল ভোট, বিরোধী দলের এজেন্টদের পেটানোসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। উত্তরবঙ্গ মোটের উপর শান্তিপূর্ণ থাকলেও তৃণমূল নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন অনুব্রত মণ্ডলের এলাকা বীরভূম সকাল থেকেই উত্তপ্ত। বোলপুর আর ইলামবাজারে বিরোধী দলের দুই এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। নানুর এবং দুবরাজপুরে অনেকগুলি ভোটকেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২৮, জরুরি অবস্থা জারি
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি সৌদি আরবের
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘ওই ১২টি বুথে তৃণমূল অবাধে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। ওই এলাকার অবজার্ভার এবং পুলিশ অবজার্ভারকে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই তাদের ফোন বন্ধ।’ দুবরাজপুরের কাঁকরতলায় এ দিন বামেদের এক এজেন্টকে অপহরণ করার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ ছাড়া উত্তরবঙ্গে গোলমালের খবর খুব বেশি নেই। তবে মালদহের ইংরেজবাজারে বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬৩ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জে নির্বাচনে তৃণমূল ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। সেখানে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই কংগ্রেসের একটি ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতেও। রায়গঞ্জের সেবকপল্লীতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস কর্মীদের শাসিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
/এসএ/বিএ/